চাঁদপুর প্রেসক্লাব

চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাথে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের নবগঠিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা করেছে জেলা পরিষদ। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় হয়। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওসমান গনি পাটওয়ারী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রোটা. মাহবুবুর রহমান সুমনের পরিচালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওসমান গনি পাটওয়ারী ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, আমি এই ভাষার মাসে আমি সব শহীদদের স্মরণ করছি। আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য গৌরবের। জাতির পিতা আমার আদর্শ। আমি জাতির পিতার কর্মী হিসেবে ২০১৬ সালে জেলা পরিষদের নির্বাচন করি। আমার ওই সময়ে সবার আগে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি যতদিন জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকবো, ততদিন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সাথে নিয়ে কাজ করবো। জেলা পরিষদ সবসময় তাদের পাশে আছে। আমরা বৃত্তি ও অনুদানসহ বিভিন্ন কাজ করে থাকি।
প্রধানমন্ত্রী আমাদের অহংকার, তিনি চাঁদপুরের মানুষকে ভালোবাসেন। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মানুষের জন্য প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। আমরা চেষ্টা করি শতভাগ না হলে কিছু করার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি জনবান্ধব, সাংবাদিকবান্ধব ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাবান্ধব জেলা পরিষদ গড়ে তোলার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকারের উন্নয়নগুলো বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব। জেলা পরিষদ একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। এটি দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে আসছে। আমাদের প্রান্তিকভাবে যে কাজগুলো করছে, তা প্রচার ও প্রসার নেই। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই প্রচারগুলো চাচ্ছি। আমরা প্রতি বছর অসহায় মানুষদের জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে থাকি।
প্রধানমন্ত্রী একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০৪১ সালে ভিশনের মধ্যে বলা আছে কৃষককে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা। জেলা পরিষদের প্রথম কাজ হচ্ছে সরকারি কাজগুলো পর্যালোচনা বা তদারকি করা। জেলা পরিষদ মনে করে সাংবাদিকদের সাথে সব কাজ সম্পন্ন করা যাবে। যে কোন প্রয়োজনে জেলা পরিষদ সাংবাদিকদের পাশে আছে। আপনারা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে জেলা পরিষদ পাশে থাকবেন। আমাদের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুধু প্রতিশ্রুতি দেন না, তিনি তা বাস্তবায়ন করেন। আমরা জনকল্যাণ কাজগুলো করে যাচ্ছি এবং করবো। আমরা মানুষের সেবা নিশ্চিত করছি।
এসময় বক্তব্য রাখেন সিলেট কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক জালাল চৌধুরী, শহীদ পাটওয়ারী, গিয়াসউদ্দিন মিলন, এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা ও আল ইমরান শোভন, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম রনি, চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ও কাদের পলাশ, কোষাধ্যক্ষ তালহা জুবায়ের, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, সাহিত্য, প্রকাশনা ও লাইব্রেরি সম্পাদক হাসান মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক এমআর ইসলাম বাবু, আপ্যায়ন ও বিনোদন সম্পাদক আশরাফুল আলম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুনাওয়ার কানন, নির্বাহী সদস্য আলম পলাশ ও নেয়ামত হোসেন।
শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভার প্রথম পর্ব পরিচালনা করেন জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেল। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মজিবুর রহমান।

০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।

Scroll to Top